মুক্তাগাছায় এস আই ও ৪ এএসআই ক্লোজ


স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তাগাছায় এস আই ও ৪ এএসআই ক্লোজ । ময়মনসিংহে মুক্তাগাছায় মুক্তাগাছা থানার একজন এস আই ( সাব ইন্সপেক্টর ) ও ৪জন এ এস আই ক্লোজের খবর টক অফ দি টাউন । আজ শুক্রবার তাদের ক্লোজ করা হয়েছে এমন খবর শোনা যাচ্ছে । এরা হচ্ছেন ,এসআই জাহিদুল ইসলাম, এএসআই জিয়াউর রহমান, রেজাউল ইসলাম, ঈমান আলী এবং আইনুল ইসলাম । জানা যায়,মুক্তাগাছায় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের একদিন পর বৃহস্পতিবার নারী নেত্রীদের উপস্থিতিতে ঘুষ হিসেবে নেয়া ৫০ হাজার টাকা ফেরতসহ ভিকটিমের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন অভিযুক্ত পাঁচ দারোগা। গত বুধবার কয়েকটি দৈনিকে ‘মুক্তাগাছায় প্রবাসী দম্পতির বাড়িতে গভীর রাতে পুলিশের হানা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু-আল-মাসুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করেন। পরে বিকালে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন স্থানীয় মহিলা পরিষদের নেত্রী রুমিদাস, মলিনা রানী দত্তসহ নারী নেত্রীদের নিয়ে ভিকটিমের বাসায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সালিশের মাধ্যমে ঘুষ হিসেবে নেয়া ৫০ হাজার টাকা ভিকটিমকে ফেরত দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করেন।মুক্তাগাছায় প্রবাসীর বাড়িতে মাঝরাতে হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ সময় বাড়ির লোকজনকে মারধর করাসহ গৃহবধূকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। টাকা না দিলে আপত্তিকর ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। ২০ হাজার টাকায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হলেও টাকার জন্য ধরে নিয়ে যায় তার দেবরকে। রোববার রাত ১২টায় মুক্তাগাছা শহরের লক্ষ্মীখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী জানায়, মুক্তাগাছা থানার এসআই জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এএসআই জিয়াউর রহমান, রেজাউল ইসলাম, ঈমান আলী ও আইনুল ইসলাম শহরের লক্ষ্মীখোলা এলাকার পৌর কবরস্থান গেট সংলগ্ন দুবাইপ্রবাসী শরাফত আলীর বাসায় হানা দেয়। ওই বাসায় থাকেন দুবাইপ্রবাসীর স্ত্রী, ছেলেমেয়ে ও কয়েকজন ভাড়াটিয়া। পুলিশ ঘরে ঢুকেই দরজা-জানালা বন্ধ করে দেয়। এরপর ঘরে থাকা দেবরের নামে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করে। প্রবাসীর স্ত্রী অভিযোগ অস্বীকার করলেও তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে পুলিশ। টাকা দিতে অস্বীকার করায় আলমারির চাবি ছিনিয়ে নেওয়া হয় তার কাছে থেকে। তছনছ করা হয় ঘরের আসবাবপত্র। এ সময় জোর করে দেবরের সঙ্গে ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে বসিয়ে ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। গালাগাল করা হয় অকথ্য ভাষায়। পুলিশের এ ধরনের আচরণে গৃহবধূর করুণ আকুতির পরও নাজেহাল করা হয় তাকে। এ সময় ভাড়াটিয়া সেনাসদস্য মাহমুদুল হাসান এগিয়ে যান। এসআই জাহিদ তাকেও মারধর করেন। হাতে তুলে দেন ২০ হাজার টাকা। ফলে বাকি টাকার জন্য তার দেবর শাহীনকে ধরে নিয়ে যায় থানায়। রাতভর শারীরিক নির্যাতন করা হয় তার ওপর। পরে গতকাল সোমবার দুপুরে ৩০ হাজার টাকায় থানাহাজত থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাকে বলে দেওয়া হয় বাকি টাকা না দিলে আবারও তাকে থানায় ধরে আনা হবে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। নির্যাতিত ওই গৃহবধূ স্থানীয় মহিলা পরিষদে এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত এসআই জাহিদ ও এএসআই জিয়াউর রহমান এসব অস্বীকার করে বলেন, এলাকা থেকে ওই নারীর সঙ্গে তার দেবরের পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনা জানতেই তারা ওই বাড়িতে যান। তাদের কাছে কোনো টাকা চাওয়া হয়নি। মুক্তাগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম। ঘটনা জানার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Previous
Next Post »
Powered By Blogger