মনোনেশ দাস ,১৫ মে ২০১৫ :মুক্তাগাছার মোশাররফ হত্যা : ভাসানীতে বহিস্কার নয় ছাত্র ।দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. শরীফ এনামুল কবিরকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কারসহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. শরীফ এনামুল কবিরকে সভাপতি ও করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট উচ্চতর
তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ খাদেমুল ইসলামকে। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এ কে এম সায়াদুল হক চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. আমির হোসেন খান ও সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেশা মুজিব মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. হাবীবুর রহমান।
বুধবার সংঘর্ষের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার মধ্যে ছেলেদের ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে মেয়েদের হল ছাড়াতে নির্দেশ দেয়া হয়। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেছে। শিক্ষার্থীরা জানায়, একদিকে পুরো ক্যাম্পাসে আতঙ্ক অন্যদিকে দ্রুত হল ত্যাগ করতে বলায় আমাদেরকে বিপাকে পড়তে হয়েছে।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে নিহতের মামাতো ভাই আব্দুল লতিফের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। নিহতকে তার গ্রামের বাড়ী ময়মনসিংহ জেলার মুক্তগাছা উপজেলার মুজাটি চরপাপাড়াতে এশার নামাজের পর দাফন করা হয়।
এদিকে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্তা নেই বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারন সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম এক যৌথ বিবৃতেতে জানিয়েছেন, মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘটিত সংঘর্ষকে ছাত্রলীগের কাঁধে চাপিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো সাংগঠনিক কাঠামো নেই।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে এ.এস.কে মোশারফসহ তিনজন আহত হয়। তাদেরকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর মোশারফ ও ফয়সাল ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু পথে অবস্থার অবনতি হলে মোশারফকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপালে নেয়া হয়। সেখানেই মোশারফ মারা যায়।
EmoticonEmoticon