ময়মনসিংহে লোকনাথের তিরোধাম দিবস


মনোনেশ দাস ৩ জুন, বুধবার, ২০১৫ : ময়মনসিংহে লোকনাথের তিরোধাম দিবস পালন । ময়মনসিংহ জেলাব্যাপী আজ বুধবার শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১২৫তম তিরোধাম দিবস বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে । ময়মনসিংহে সদরে , মুক্তাগাছায় , ফুলপুরে , নান্দাইলে , ঈশ্বরগঞ্জে, হালুয়াঘাটে , গফরগাঁওয়ে ,ত্রিশালে , ভালুকায় , ফুলবাড়িয়ায় উপজেলার দুই সহশ্রাধিক মন্দিরে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো কীর্তন, পূজার্চনা, বাতি প্রজ্জলন , গীতাপাঠ , প্রসাদ বিতরণ, ভক্তিমূলক গান শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর জীবনী পাঠ ।-----------++++++++++===----------------- জানা যায়, লোকনাথ ব্রহ্মচারী (জন্ম: ১৭৩০ - মৃত্যু: ১৮৯০)[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ছিলেন একজন হিন্দু ধর্মগুরু। তিনি লোকনাথ বাবা নামেও পরিচিত। বাবা লোকনাথ শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন জন্মাষ্টমীতে ১৭৩০ খ্রিস্টাব্দের ৩১ অগস্ট[১] (১৮ ভাদ্র, ১১৩৭ বঙ্গাব্দ) কলকাতা থেকে কিছু দূরে ২৪ পরগণার চৌরাশি চাকলা গ্রামে একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম রামনারায়ণ ঘোষাল এবং মাতা কমলাদেবী। তিনি ছিলেন তাঁর বাবা-মায়ের ৪র্থ পুত্র ।শিষ্যত্ব দীক্ষাগুরু হিসেবে ভগবান চন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায় কয়েক বছর দেশে বাস করে লোকনাথ ও বেণীমাধব বন্দ্যোপাধ্যায় নামে শিষ্যদ্বয়কে সাথে নিয়ে কালীঘাটে আসেন। পরে ভগবান চন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায় তাদেরকে নিয়ে বারাণসীতে গমন করে দেহত্যাগ করার পূর্বে ত্রৈলিঙ্গস্বামীর হাতে ভার দিয়ে যান। সেখানে স্বামীজীর সাথে তারা কিছুকাল যোগশিক্ষা করে ভ্রমণে বের হন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ভ্রমণ লোকনাথ পশ্চিম দিকে দিয়ে আফগানিস্তান, মক্কা, মদিনা ইত্যাদি স্থান অতিক্রম করে আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূল পর্যন্ত গমন করেছিলেন। মক্কাদেশীয় মুসলিম জনগোষ্ঠী তাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। সেখানে আবদুল গফুর নামে এক মহাপুরুষের সাথে পরিচিত হন। পরে তিনি বেণীমাধবকে সাথে নিয়ে উত্তরের পথে গমন করেন। তারা সুমেরু এলাকা গমনের ইচ্ছায় প্রাক-প্রস্তুতি উপলক্ষে শৈত্যপ্রধান এলাকা হিসেবে বদরিকা আশ্রমে অবস্থান করে সেখান থেকে আধুনিক পরিজ্ঞাত সীমা অতিক্রম করে উত্তরে বহুদূরে চলে যান। সেখানে সূর্যোদয় না হওয়ায় সময় নির্ণয় করা যায় নাই; তবে তারা সে পথে ২০ বার বরফ পড়তে ও গলতে দেখেছিলেন। শেষে হিমালয় শৃঙ্গে বাঁধা পেয়ে তারা পূর্ব দিকে গমন করে চীন দেশে উপস্থিত হন এবং ৩ মাস বন্দী থেকে মুক্তিলাভ করেন। তারপর উভয়ে চন্দ্রনাথে আগমন করে কিছুকাল থেকে বেণীমাধব কামাখ্যায় এবং লোকনাথ বারদী গ্রামে গমন করে বাস করতে থাকে। সে সময় থেকেই “বারদী’র ব্রহ্মচারী” হিসেবে লোকনাথ পরিচিতি পান।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] আধ্যাত্মিক শক্তি বাবা লোকনাথের আধ্যাত্মিক শক্তি সম্বন্ধে অনেক কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। কেউ কেউ বলেন, তিনি জাতিস্মর; দেহ হতে বহির্গত হতে এবং অন্যের মনের ভাব অবলীলায় তিনি জানতে পারতেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]এছাড়াও, অন্যের রোগ নিজ দেহে এনে রোগীকে রোগমুক্ত করতে পারতেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] মৃত্যু বাংলা ১২৯৭ সালের ১৯ জ্যৈষ্ঠ (১ জুন, ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দ[২]) ১৬০ বছর বয়সে লোকনাথ ব্রহ্মচারী দেহত্যাগ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] উক্তি “রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়বে, আমাকে স্মরণ করো আমিই রক্ষা করব।”[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] “আমার বিনাশ নেই, শ্রাদ্ধও নেই, আমি নিত্য পদার্থ।” অর্থাৎ এই ‘আমি’ হলাম গীতায় বর্ণিত ‘পরমাত্মা’।
Previous
Next Post »
Powered By Blogger