ময়মনসিংহে সম্ভ্রম রক্ষায় লাফ


মনোনেশ দাস ,১৪ মে ২০১৫ :ময়মনসিংহে সম্ভ্রম রক্ষায় লাফ । সম্ভ্রম রক্ষায় চলন্ত বাস থেকে ঝাঁপিয়ে পড়লো তরুণী ।ময়মনসিংহে চুরখাই এলাকায় বুধবার বিকেলে চলন্ত বাসে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার। পুলিশ বাসটিসহ এর চালক নূরুউদ্দিনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় রাত ৮টার দিকে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা করেছে গৃহপরিচারিকা হীরা (২৪)। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামে। কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল করিম জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার কমিরগঞ্জের নিয়ামতপুরের দুলাল মিয়ার স্ত্রী হীরা। সে ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি বাসায় কাজ করত। সে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে শেরপুরগামী ‘এজি পরিবহনে’ (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৫৪৮৪) ময়মনসিংহ আসছিল। বিকেল ৫টার দিকে বাসটি ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে হেলপার ও সুপারভাইজার বাসটি বিকল হয়ে গেছে বলে যাত্রীদের জানায়। এ সময় অন্য যাত্রীরা নেমে অন্য বাসে করে চলে যায়। অন্য যাত্রীদের মতো হীরাও বাস থেকে নামতে চাইলে চালক ও হেলপার তাকে পাটগুদাম ব্রিজ বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে বাসেই বসতে বলে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাসটি সদর উপজেলার চুরখাই পৌঁছলে সুপারভাইজার ও হেলপার বাসের দরজা-জানালা বন্ধ করে তাকে চলন্ত বাসেই ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ছাড়া তার কাছে থাকা সাড়ে ৫ হাজার টাকা, কানের দুল ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে হীরা জানালা খুলে চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে নেমে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে তিন মোটরসাইকেল আরোহী বাসটির গতিরোধ করে চালককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এ সময় সুপারভাইজার ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কোতয়ালী পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হীরাকে উদ্ধার করে ও বাসসহ চালক নূরুউদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটক বাসচালক নূরুউদ্দিনের বাড়ি ফুলপুর উপজেলার নগুয়া গ্রামে বলে জানান ওসি।
Previous
Next Post »
Powered By Blogger