মনোনেশ দাস : ময়মনসিংহ জেলা । ময়মনসিংহ শহর । ময়মনসিংহ সদর । ময়মনসিংহ পৌরসভা । ময়মনসিংহ জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ময়মনসিংহ জেলা মৈমনসিংহ গীতিকা, মহুয়া, মলুয়া, দেওয়ানা মদীনা, চন্দ্রাবতী, কবিকঙ্ক, দীনেশ চন্দ্র সেনের জন্য বিখ্যাত।ময়মনসিংহ জেলার উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে গাজীপুর জেলা, পূর্বে নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলা এবং পশ্চিমে শেরপুর, জামালপুর ও টাঙ্গাইল জেলা অবস্থিত।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
ময়মনসিংহ জেলার অভ্যন্তরীণ মানচিত্র
ময়মনসিংহ জেলা মোট ১৩ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এগুলো হল
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা
ত্রিশাল উপজেলা
গৌরীপুর উপজেলা
মুক্তাগাছা উপজেলা
ফুলপুর উপজেলা
হালুয়াঘাট উপজেলা
ভালুকা উপজেলা
ফুলবাড়িয়া উপজেলা
গফরগাঁও উপজেলা
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা
নান্দাইল উপজেলা
ধোবাউড়া উপজেলা
তারাকান্দা উপজেলা
নামকরণ
মোগল আমলে মোমেনশাহ নামে একজন সাধক ছিলেন, তাঁর নামেই মধ্যযুগে অঞ্চলটির নাম হয় মোমেনশাহী। ষোড়শ শতাব্দীতে বাংলার স্বাধীন সুলতান সৈয়দ আলাউদ্দিন হোসেন শাহ তাঁর পুত্র সৈয়দ নাসির উদ্দিন নসরত শাহ'র জন্য এ অঞ্চলে একটি নতুন রাজ্য গঠন করেছিলেন, সেই থেকেই নসরতশাহী বা নাসিরাবাদ নামের সৃষ্টি। নাসিরাবাদ নাম পরিবর্তন হয়ে ময়মনসিংহ হয় একটি ভুলের কারণে। বিশ টিন কেরোসিন বুক করা হয়েছিল বর্জনলাল এন্ড কোম্পানীর পক্ষ থেকে নাসিরাবাদ রেল স্টেশনে। এই মাল চলে যায় রাজপুতনার নাসিরাবাদ রেল স্টেশনে। এ নিয়ে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পরবর্তীতে আরো কিছু বিভ্রান্তি ঘটায় রেলওয়ে স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে ময়মনসিংহ রাখা হয়। সেই থেকে নাসিরাবাদের পরিবর্তে ময়মনসিংহ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। [২]
ইতিহাস
মূল নিবন্ধ: ময়মনসিংহের ইতিহাস
ময়মনসিংহ বাংলাদেশের একটি পুরোনো জেলা। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে রাজস্ব আদায়, প্রশাসনিক সুবিধা বৃদ্ধি এবং বিশেষ করে স্থানীয় বিদ্রোহ দমনের জন্য এই জেলা গঠন করা হয়। ১৭৮৭ সালের মে ১ তারিখে এই জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে এখনকার বেগুনবাড়ির কোম্পানিকুঠিতে জেলার কাজ শুরু হয় তবে পরবর্তী সময়ে সেহড়া মৌজায় ১৭৯১ সালে তা স্থানান্তরিত হয়। আদি ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন স্থান একে একে সিলেট, ঢাকা, রংপুর ও পাবনা জেলার অংশ হয়ে পড়ে। ১৮৪৫ সালে জামালপুর, ১৮৬০ সালে কিশোরগঞ্জ, ১৮৬৯ সালে টাঙ্গাইল ও ১৮৮২ সালে নেত্রকোনা মহকুমা গঠন করা হয়। পরে সবকটি মহকুমা জেলায় উন্নীত হয়। ময়মনসিংহ শহর হয় ১৮১১ সালে। শহরের জন্য জায়গা দেন মুক্তাগাছার জমিদার রঘুনন্দন আচার্য। ১৮৮৪ সালে রাস্তায় প্রথম কেরোসিনের বাতি জ্বালানো হয়। ১৮৮৬ সালে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ ও ১৮৮৭ সালে জেলা বোর্ড গঠন করা হয়।
দর্শনীয় স্থান
ময়মনসিংহ সদরে আলেকজান্ডার ক্যাসেল, জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালা,সার্কিট হাউজ, সিলভার প্যালেস, বিপিন পার্ক, রামগোপালপুর জমিদার বাড়ি, বোটানিক্যাল গার্ডেন, চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু, ময়মনসিংহ টাউনহল, দুর্গাবাড়ী, ব্রহ্মপুত্র নদ, কাশবন, গৌরীপুর রাজবাড়ী, মুক্তাগাছার রাজবাড়ী, কেল্লা তাজপুর,নিজাম উদ্দিন আওলিয়ার মাজার ইত্যাদি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ, মুমিনুন্নেসা মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ, গৌরীপুর সরকারি কলেজ, ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, রুমডো ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, গৌরীপুর আরকে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয়, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল, নাসিরাবাদ কলেজিয়েট স্কুল, নটরডেম কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ ইত্যাদি।
তথ্যসূত্র
বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে জেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগৃহীত ২৬ জুন, ২০১৪।
এক নজরে ময়মনসিংহ জেলা,দৈনিক ময়মনসিংহ বার্তা।
ময়মনসিংহ বাংলাদেশের একটি শহর।বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম এটি ময়মনসিংহ জেলার প্রায় কেন্দ্রভাগে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত। নদীর তীর জুড়ে এখানে একটি শহর রক্ষাকারী বাঁধ রয়েছে যার বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে নিয়ে গড়ে উঠেছে ময়মনসিংহ পার্ক যা শহরবাসীর মূল বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত। পার্কের বর্তমানে অনেক দৃশ্যমান উন্নয়ন করা হয়েছে । এটি প্রস্তাবিত বিভাগ রুপে আছে।
ময়মনসিংহ শহরটি পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত, ফটো-২০১১
পরিচ্ছেদসমূহ
১ নামকরণ
২ ইতিহাস
২.১ বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ময়মনসিংহ শহর (১৯৭১)
৩ ভৌগোলিক পরিচিতি
৪ কৃতি-ব্যক্তিত্ব
৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
৬ সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান
৭ দর্শনীয় স্থানসমূহ
৮ উপসনালয়
৯ যাতায়ত ব্যবস্থা
১০ বাজার-ঘাট
১১ জনজীবন, জীবিকা
১২ বাৎসরিক অনুষ্টানাদি
১৩ সরকারী দপ্তরসমূহ
১৪ গণমাধ্যম
১৫ বিখ্যাত ব্যক্তিগণ
১৬ আরও দেখুন
১৭ তথ্যসূত্র
নামকরণ
ময়মনসিংহ জেলার নামকরণ নিয়ে ইতিহাসবিদদের মাঝে ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। আর ষোড়শ শতাব্দীতে বাংলার স্বাধীন সুলতান সৈয়দ আলাউদ্দিন হোসেন শাহ তাঁর পুত্র সৈয়দ নাসির উদ্দিন নসরত শাহ’র জন্য এ অঞ্চলে একটি নতুন রাজ্য গঠন করেছিলেন, সেই থেকেই নসরতশাহী বা নাসিরাবাদ নামের সৃষ্টি। সলিম যুগের উৎস হিসেবে নাসিরাবাদ নামটিও আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কোথাও উল্লেখ করা হচ্ছে না। ১৭৭৯-তে প্রকাশিত রেনেল এর ম্যাপে মোমেসিং নামটি বর্তমান 'ময়মনসিংহ' অঞ্চলকেই নির্দেশ করে। তার আগে আইন-ই-আকবরীতে ‘মিহমানশাহী’ এবং ‘মনমনিসিংহ’ সরকার বাজুহার পরগনা হিসাবে লিখিত আছে; যা বর্তমান ময়মনসিংহকেই ধরা যায়। এসব বিবেচনায় বলা যায় সম্রাট আকবরের রাজত্ব কালের পূর্ব থেকেই ময়মনসিংহ নামটি প্রচলিত ছিলো। ব্রিটিশ আমলে জেলা পত্তন কালে ময়মনসিংহ অঞ্চলের সমৃদ্ধ জমিদারগণ সরকারের কাছে জেলার নাম 'ময়মনসিংহ' রাখার আবেদন করলে সরকার তা গ্রহণ করে নেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ইতিহাস
মূল নিবন্ধ: ময়মনসিংহের ইতিহাস
১ মে ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলা গঠিত হয় যার প্রথম কালেক্টর ছিলেন মিঃ এফ লি গ্রোস। ১৭৯১ খ্রিস্টাব্দে জেলা সদরের পত্তন হয় এবং ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে পৌরসভা গঠিত হয়। কালেক্টরেট ভবন ছিল ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রবিন্দু। ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে সরকারী ডাক ব্যবস্থার প্রচলন করা হয়। ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে জেলা বোর্ড গঠন করা হয়। প্রথম সরকারী চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করা হয় ১৭৯১ খ্রিস্টাব্দে। ময়মনসিংহ শহর থেকে প্রথম মুদ্রিত পুস্তক প্রকাশিত হয় ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে। ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম ইংরেজী স্কুল। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে। জেলার প্রথম আদম শুমারী পরিচালিত হয় ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে। টেলিগ্রাফ অফিস স্থাপন ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে। । ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ চালু ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে, এবং ময়মনসিংহ-জগন্নাথগঞ্জ রেলপথ চালু হয় ১৮৬৫ সনে
ময়মনসিংহ শহরে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে স্থাপিত প্রথম শিরোপরি জলাধার (পানির ট্যাংক)
ময়মনসিংহ নাম করণ ঃ ময়মনসিংহ জেলার নাম করণ করা হয় সম্রাট আকবরের প্রধান সেনাপতি মান সিংহের নাম অনুসারে। সেনাপতি মান সিংহকে সম্রাট আকবর এ অঞ্চলে পাঠান বার ভূইয়ার প্রধান ইশাখাঁকে পরাজিত করার জন্য। পরবর্তীতে মান সিংহের কাছে ঈশা খাঁ পরাজিত হয়। তখন থেকে বাংলা থেকে বার ভূইয়ার আধিপত্য শেষ হয়ে যায়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ময়মনসিংহ শহর (১৯৭১)
১৯৭১-এর ২৫ মার্চে ঢাকা শহরে গণহত্যা শুরুর অব্যবহিত পরে ময়মনসিংহের সংগ্রামী জনতা খাগডহর তৎকালীন ইপিআর ক্যাম্প ঘেরাও করে এবং বাঙ্গালী ইপিআর সদস্যদের সহায়তায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। এ যুদ্ধে ইপিআর সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের ড্রাইভার পুত্র আবু তাহের মুকুল শাহাদৎ বরণ করেন। মূলতঃ এই যুদ্ধের পর পরই ময়মনসিংহের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত সীমান্ত ফাঁড়িগুলি বাঙ্গালী বিডিআরদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। নিহত পাক সেনাদের লাশ নিয়ে ময়মনসিংহবাসী বিজয় মিছিল করতে থাকে ও ধৃত অন্যান্য পাকসেনাদের কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলখানায় প্রেরণ করা হয়। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এক সকালে পুরাতন বিডিআর ভবনের ৩য় তলার শীর্ষে হাজার হাজার লোকের জয় বাংলা ধ্বনির মধ্যে বাংলাদেশের নকশা খচিত পতাকা পতাকা উত্তোলন করেন সাবেক কমান্ডার জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মোঃ সেলিম সাজ্জাদ। এ যুদ্ধে আবুল হাসেম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ম হামিদ, এসএম নাজমুল হক তারা, চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের (কাদু মিয়া), ভাসানী ন্যাপ নেতা এডভোকেট আব্দুল লতিফ তালুকদার, ইসহাক আখন্দ, গিয়াসুদ্নদিন মোক্তার, এম শামছুল আলম, শেখ হারুন, খোকন, বিডিআর ও পুলিশের সদস্যসহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করে।
১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস/
ভৌগোলিক পরিচিতি
ময়মনসিংহ শহরের নবনির্মিত জিরো পয়েন্ট নির্দেশক স্থাপনা। নির্মাণকাল - ২০১১ খ্রিস্টাব্দ
ময়মনসিংহ জেলা 24°02'03" থেকে 25°25'56" উত্তর অক্ষাংশ এবং 89°39'00" থেকে 91°15'35" পূর্ব দ্রাঘিমাংশের অবস্থিত। সর্বশেষ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ (১৯৭১) অনুযায়ী, এটি ৫,০৩৯.৭৬ বর্গ মাইল (১৩,০৫২.৯২ বর্গ কিলোমিটার) ব্যাপী একটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত।
প্রকৃত শহর এলাকা, মিউনিসিপাল এলাকার চেয়ে বড়। ময়মনসিংহ শহর তার উত্তর বরাবর প্রবাহিত পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী দ্বারা পরিষ্কারভাবে চিহ্নিত।
কৃতি-ব্যক্তিত্ব
আব্দুল জব্বার ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহিদ
আবুল মনসুর আহমেদ
রফিক উদ্দিন ভূইয়া
আবুল কাসেম ফজলুল হক
গোলাম সামদানী কোরায়শী
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ময়মনসিংহ শহরের একটি আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এইচ এস টি টি আই ২০১১
ময়মনসিংহ শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংখ্যায় অনেক। এগুলোর মধ্যে রয়েছে স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, কারিগরী বিদ্যালয় ইত্যাদি। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ঊনবিংশ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত।
ময়মনসিংহ শহর বাংলাদেশের অন্যতম শিক্ষানগরী হিসাবে পরিচিত । ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ অবস্থিত। এছাড়া এখানে মুমিনুন্নিসা মহিলা কলেজ, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ, ময়মনসিংহ সিটি কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, নটর ডেম কলেজ ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ইত্যাদি খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। নিচে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি তালিকা দেয়া হলো:
সরকারী মুমিনুন্নিসা মহিলা কলেজ (১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত, ১৯৮০ সালে ১ মার্চ সরকারী করণ)।
টিচারস ট্রেনিং কলেজ -১৯৪৮ (পুরুষ) (সপ্তম এডওয়ার্ডের পত্নীর নামে বাগান বাড়ীতে প্রতিষ্ঠিত হয়)।
টিচারস ট্রেনিং কলেজ -১৯৫২ (মহিলা) (শশী লজ এ প্রতিষ্ঠিত হয়)।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক ইনস্টিটিউট (১৯৯৫)।
কাতলাসেন কাদেরীয়া কামিল মাদ্রাসা (১৮৯০)।
কলেজ অব এডুকেশন (১৯৬৮)। আপগ্রেড ১৯৭২ সালে, পরবর্তীতে মৌলিক শিক্ষা একাডেমী এবং আরো পরে ন্যাশনাল একাডেমী ফর ভপ্রাইমারী এডুকেশন ‘নেপ’ নামে পরিচালিত হচ্ছে।
সরকারী কমার্শিয়াল কলেজ। (সহশিক্ষা)
ময়মনসিংহ পি টি আই।
কলেজ অব বিজনেস সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (CBST)-২০০২
ময়মনসিংহ জি টি আই।
ময়মনসিংহ বেসরকারী টিচারস ট্রেনিং কলেজ।
ভেটেনারী ট্রেনিং ইনস্টিটিউট।
কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
আক্তারুজ্জামান কলেজ (বর্তমান নাম ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয়)-১৯৬৫। (সহশিক্ষা)
মহিলা ডিগ্রী কলেজ।
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি কলেজ। (সহশিক্ষা)
আলমগীর মনসুর মিন্টু কলেজ (২৩ জানুয়ারি ১৯৬৯ সালে পুলিশের গুলিতে শহীদ মিন্টুর নামে এই কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়)। (সহশিক্ষা)
নটরডেম কলেজ ময়মনসিংহ (প্রতিষ্ঠা - ২০১৪,অভিষেক -১১ই জানুয়ারি ২০১৫)
ময়মনসিংহ প্রকৌশলী মহাবিদ্যালয়। (সহশিক্ষা)
মোমেনশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। (সহশিক্ষা)
ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয় মোমেনশাহী (সহশিক্ষা)
ময়মনসিংহ ল’কলেজ (নৈশ কলেজ) -১৯৬৭। (সহশিক্ষা)
পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট (১৯৬৩)। (সহশিক্ষা)
ময়মনসিংহ ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজি (MIST)
ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ (১৯৮২)।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ (১৯৯৯) বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম এর নামে বাংলাদেশে একমাত্র কলেজ। (সহশিক্ষা)
ময়মনসিংহ সিটি কলেজ
ময়মনসিংহ ইসলামী একাডেমী এন্ড কলেজ। (সহশিক্ষা)
এডভান্স রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ। (সহশিক্ষা)
হাজী কাশেম আলী কলেজ। (সহশিক্ষা)
রয়েল মিডিয়া কলেজ। (সহশিক্ষা)
ময়মনসিংহ আইডিয়াল কলেজ (সহশিক্ষা)
ময়মনসিংহ আর্ট কলেজ। (সহশিক্ষা)
লিটল মেডিকেল স্কুলটি বিলুপ্ত হয় এবং ময়মনসিংহ শহরে একটি পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬২ সালে।
কমিউনিটি বেজ্ড মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।
ময়মনসিংহ জিলা স্কুল
ল্যাবরেটরী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়। (সহশিক্ষা)
বেসরকারী ল্যাবরেটরী উচ্চ বিদ্যালয়। (সহশিক্ষা)
জেলা পরিষদ উচ্চ বিদ্যালয়। (সহশিক্ষা)
মহাকালী বালিকা বিদ্যালয় (১৯০৭) কলেজ সংযুক্ত হয় ১৯৮১ সালে।
হাজী উসমান আলী উচ্চ বিদ্যালয় (সহশিক্ষা) (১৯৭০)
পুলিশ লাইন হাইস্কুল - ১৯৭৪ । (সহশিক্ষা)
মহিলা সমিতি উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়। (সহশিক্ষা)
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-এর আওতায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হাই স্কুল ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল স্থাপিত হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় পূর্বে ভেটেনারী কলেজ(১৯৫৭) নামে পরিচিত ছিল।
ময়মনসিংহ সেন্টাল কলেজ-২০০৭
ময়মনসিংহ ক্যাপিটাল কলেজ- ২০১৩
ব্রহ্মপুত্র মডেল রেসিডেনসিয়াল কলেজ
রয়েল মিডিয়া কলেজ
বিজিবি কলেজ
মৃত্যুঞ্জয় হাই স্কুল-১৯০১
বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, , জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়,ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ,আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,ময়মনসিংহ ইন্ঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, মুমিনুন্নেসা মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ, ময়মনসিংহ সিটি কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, মোমেনশাহী, নাসিরাবাদ কলেজ,নটর ডেম কলেজ ময়মনসিংহ, মহিলা ডিগ্রী কলেজ, মুসলিম গার্লস কলেজ, বাংলাদেশ মহিলা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ
মাধ্যমিক স্কুল: ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ সরকারী ল্যাবরেটরি স্কুল, প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাই স্কুল( সাবেক প্রি-ক্যাডেট হাই স্কুল),কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হাই স্কুল, মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়, সিটি কলেজিয়েট স্কুল, এডওয়ার্ড স্কুল, নাসিরাবাদ হাই স্কুল, পুলিশ লাইন হাই স্কুল, মৃতুঞ্জয় স্কুল,ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয় মোমেনশাহী
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান
উদিচি আলোকময় নাহা সঙ্গিতালয় নজরুল একাডেমি বহুরূপী নাট্ট
দর্শনীয় স্থানসমূহ
শশী লজের সম্মুখ চত্বরে মার্বেল পাথরের মূর্তি
শশী লজ
গৌরীপুর লজ
আলেকজান্দ্রা ক্যাসল
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা
স্বাধীনতা স্তম্ভ
ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী পার্ক
ময়মনসিংহ জাদুঘর
বোটানিক্যাল গার্ডেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
নজরুল স্মৃতি কেন্দ্র
মহারাজ সূর্যকান্তের বাড়ী
বীরাঙ্গনা সখিনার মাজার
রামগোপাল জমিদার বাড়ী
ফুলবাড়ীয়া অর্কিড বাগান
ফুলবাড়ীয়া আলাদীনস ইকোপার্ক
চীনা মাটির টিলা
আব্দুল জব্বার স্মৃতি জাদুঘর
বিপিন পার্ক বিপিনচন্দ্র পাল
সাহেব পার্ক (শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন গ্যালারীর কাছাকাছি)
মুক্তাগাছা রাজবাড়ি
উপসনালয়
ময়মনসিংহ শহরের বড় মসজিদ
সমগ্র শহর জুরেই আছে মসজিদ, মন্দির, গির্জা। যেমন আছে বড় মসজিদ, বড় বাজারের খুবই কাছাকাছি। এছাড়া আছে , ভাটি কাশর মসজিদ। রয়েছে কালী মন্দির, দূর্গা মন্দির, শিব মন্দির, লোকনাথের আশ্রম। পাদ্রি মিশন রয়েছে মাসকান্দায়, গির্জা আছে সার্কিট হাউজের খুবই নিকটে।
যাতায়ত ব্যবস্থা
ময়মনসিংহ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের সাথে রয়েছে ট্রেন যোগাযোগ। রয়েছে আন্তঃনগর এবং মেইল ট্রেন উভয়ই।
আন্তঃনগর ট্রেনসমূহ হলো: যমুনা একপ্রেস, তিস্তা একপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র একপ্রেস, অগ্নিবিণা, বিজয় (ময়মনসিংহ-কিশোর গঞ্জ,ভৈরব বাজার, কুমিল্লা-চট্টগ্রাম), হাওড় (নেত্রকোণ-ময়ম-ঢাকা) একপ্রেস।
মেইল ট্রেনসমূহ হলো: ধলেশ্বরী একপ্রেস, ভাওয়াল একপ্রেস, ময়মনসিংহ একপ্রেস, ঈশাখা একপ্রেস, মহুয়া একপ্রেস, জামালপুর কমিউটার, দেওয়ানগঞ্জ একপ্রেস।[২]
এছাড়া সড়ক ও জলপথেও যাতায়াত করা যায় ময়মনসিংহে।
বাজার-ঘাট
নতুন বাজার, স্বদেশী বাজার, বড় বাজার, ছোট বাজার, মেছুয়া বাজার রয়েছে ময়মনসিংহে। এছাড়া সিকে ঘোষ রোড আর মিন্টু কলেজ মোড়েও রয়েছে বাজার। এগুলি সবই মূলত অনেক পুরাতন। যেমন স্বদেশী বাজারের নামকরণ হয়েছে স্বদেশী আন্দোলনের সময়।
জনজীবন, জীবিকা
বাৎসরিক অনুষ্টানাদি
স্বাধীনতা দিবস
বিজয় দিবস
আন্তরজাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস (টাউন হল মোর)
পহেলা বৈশাখ (জয়নুল আবেদিন উদ্যান)
ময়মনসিংহ মুক্তি দিবস, ১০ ডিসেম্বর
ময়মনসিংহ সদর পৌরসভা এহান ময়মনসিংহ সদর উপজিলার ময়মনসিংহ জিলার বারো ঢাকা বিভাগর মা আসে পৌরসভা আহান।
মেথেল
১ ভৌগলিক উপাত্ত
১.১ চৌদ্দাহান
২ জনসংখ্যার উপাত্ত
৩ ইতিহাসহান
৪ ৱার্ড বারো মহল্লা
৫ নাংকরা মানু
৬ ফায় ফসল
৭ সাকেই আসে ইকরা
৮ তথ্যসূত্র
ভৌগলিক উপাত্ত
আয়তনহান: ২১.৭৩ বর্গ কিলোমিটার। পৌরসভা এহাত ৪৪৪৮৯ গ ঘরর ইউনিট আসে।
চৌদ্দাহান
মুঙেদে: ---
পিছেদে: ---
খায়েদে: ---
ঔয়াঙেদে: ---
জনসংখ্যার উপাত্ত
বাংলাদেশর ২০০১ মারির মানুলেহা (লোক গননা) ইলয়া ময়মনসিংহ সদর পৌরসভার জনসংখ্যা ইলাতাই ২২৭২০১ গ।[১] অতার মা মুনি ১১৯১৭২গ, বারো জেলা/বেয়াপা ১০৮০৩২গ। ময়মনসিংহ সদর পৌরসভার সাক্ষরতার হারহান ৭১.১%। বাংলাদেশর সাক্ষরতার হারহান ৩২.৪%।
ইতিহাসহান
ৱার্ড বারো মহল্লা
পৌরসভা এহাত ৱার্ড: ২১ হান বারো মহল্লা: ৮৫ হান আসে
The Mymensingh Municipality was one of the oldest towns established in 1869 having area 21.73 Sq. KM. It is situated on the right bank of the old river Brahmaputra. The Pourashava belongs to A-1 Category and divided into 21 wards. It lies between the 24043' and 24045'north latitude and 90023' and 90025' east longitude. Mymensingh is the regional hub of the surrounding six districts like Tangail, Mymensingh, Sherpur, Netrokona, Jamalpur and Kishoreganj and Mymensingh Pourashava is located in the zila headquarters of Mymensingh. It is 120 km far from the capital city Dhaka. The communication channels with the capital city and other part of the country both road and railway is easier from here.
Mymensingh is one of the rapidly growing and densely populated secondary towns of Bangladesh, with an estimated present population of 0.475 million in the municipal area and average family size is 5.6 (ADB et. al., 2004). About 60.4 percent population of the Pourashava is literate, of which 66.4 percent are male and 53.4 percent are female (LGED et. al. 2002). The principle occupations of the adult males in the Pourashava are in the business and service areas.
EmoticonEmoticon