ময়মনসিংহে গরু


ময়মনসিংহে গরু । ময়মনসিংহ পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সব সড়কের যত্রতত্র বিচরণ করছে গরু। এতে স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ শহরে চলাচলকারী লোকজনকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ময়মনসিংহ পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, সড়কে গরুর অবাধ বিচরণ বন্ধ করতে পৌরসভা একাধিকবার উদ্যোগ নিতে গিয়েও শেষ পর্যন্ত তারা তা বন্ধ করতে পারেনি। ওই সব গরুর মালিকেরা নানাভাবে তদবির করে পৌরসভার উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করেন। বর্তমানে শহরের বিভিন্ন সড়কে অবাধে বিচরণ করছে স্থানীয় লোকদের ১৩৮টি গরু। তবে স্থানীয় ব্যক্তিদের মতে, এসব সড়কে তিন শতাধিক গরু বিচরণ করে। এতে এলাকার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চরপাড়া, সেহড়া, ডিবি রোড, ধোপাখলা, বাঁশবাড়ী কলোনি, কাচিঝুঁলি, কাছারিঘাট, জুবলীঘাট, কালীবাড়ি গোদারাঘাট, সানকিপাড়া, সেনবাড়ী, আকুয়াসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ বাড়িতে গরু পালে। গরুর খাওয়ার খরচ সাশ্রয় করতে মালিকেরা দিনে এমনকি রাতেও শহরের বিভিন্ন সড়কে গরু ছেড়ে রাখেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গরুর মালিক জানান, জন্মের পর থেকেই উন্মুক্ত রাখায় গরু হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। দুধ দেওয়ার সময় গরু নিজ থেকেই মালিকের বাড়িতে নির্দিষ্ট স্থানে চলে আসে। এ ছাড়া বাড়িতে রাখলে গরুর খাবারের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করতে হয়। সড়কে ছেড়ে রাখলে সড়কের পাশের আস্তাকুঁড়ে থাকা বিভিন্ন উচ্ছিষ্ট খাবার খেয়ে এদের পেট ভরে যায়। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের গুরুত্বপূর্ণ নতুন বাজার, জিলা স্কুল সড়ক, চরপাড়া এলাকা, গাঙ্গিনারপার, ধোপাখলা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের কাছারি সড়ক, বাতিরকল মোড়, আকুয়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবাধে চলাচল করছে গরু। এ সময় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সব সড়কে দিনের ব্যস্ত সময়েও গরুর অবাধ বিচরণের ফলে প্রতিদিন তাঁদের ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে জিলা স্কুল সড়ক, নতুন বাজার এলাকা ও বাউন্ডারি রোডে গরুর অবাধ বিচরণের কারণে প্রতিদিন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাচল। গত কয়েক দিনে জিলা স্কুল, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়কে গরু দেখলেই তারা ভয়ে থমকে দাঁড়ায়। গরুর পেছনে পেছনে হাঁটা ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকে না। পৌরসভার মেয়র মো. ইকরামুল হক দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর দীপক মজুমদার প্রথম আলোকেবলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ২২ জনের ১৩৮টি গরু অবৈধভাবে চলাচল করে বলে তথ্য সংগ্রহ করেছি। একাধিকার মাইকিং করে মালিকদের সতর্ক করা হলেও কাজ হয়নি। শহরের তিনটি গরুর খোঁয়াড় তৈরির পরিকল্পনা আছে। তা ছাড়া মালিকদের ডেকে তাঁদের বোঝানো হবে, অবাধে দিনের বেলায় তাঁরা যেন গরু সড়কে ছেড়ে না দেন। ’http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/514237/%E0%A6%AE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B9-%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
Previous
Next Post »
Powered By Blogger