মনোনেশ দাস : গৌরীপুরে উদ্ধার নির্যাতিতা । ময়মনসিংহে গৌরীপুরে ।ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের বড়ই কান্দী গ্রামের মৃত আঃ সালামের মেয়ে গৃহকর্মী কল্পনাকে (১৬) এক সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী রুনা আক্তার মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের পর তাকে ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী ।
কল্পনার মা রেজিয়া খাতুন জানায়, তার বড় মেয়ের শ্বশুর ওই ইউনিয়নের সিংসাপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে আরশাদ আলী (৫৮) কল্পনাকে ৪ বছর আগে ৩ হাজার টাকা মাসিক ধার্য করে ঢাকায় এক সেনা কর্মকর্তার (কর্নেল) ফেরদৌস আলমের বাসায় গৃহকর্মীর কাজে নিয়ে যায়। এর পর থেকে মেয়ের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে গৃহকর্তী রুনা বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে কথা বলা থেকে বিরত রাখে। প্রায় বছর খানের পূর্বে মা রেজিয়া মেয়েকে দেখতে গেলে কর্নেলের স্ত্রী রুনা আক্তার আড়াল থেকে তার মেয়ে কল্পনাকে দেখতে দেয়। এ ঘটনায় মা রেজিয়া মনে কষ্ট নিয়ে বাড়ী ফিরে আসে। তার পর থেকে কল্পনার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে মা রেজিয়া বাদী হয়ে ময়মনসিংহ আদালতে বড় মেয়ের শ্বশুর আরশাদ আলীর বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ আদালতে মানব পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৪১২/২০১৪ইং। উক্ত মামলায় আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর পর সে গা ঢাকা দেয়। চলতি মাসের ৯ তারিখ আরশাদ আলী গৃহকর্মী কল্পনাকে সঙ্গে নিয়ে ময়মনসিংহে আসে। এ সময় কল্পনা চতুরতার মাধ্যমে বানিজ্যিক মোবাইলে থেকে বাড়ীতে কল করলে এলাকাবাসী তাকে ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার করে তার গ্রামের বাড়ী নিয়ে আসার পর ১০ মে রাতে আরশাদ আলীকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে।
নির্যাতিত গৃহকর্মী কল্পনা জানায়, সেনা কর্মকর্তা (কর্নেল) ফেরদৌস আলম পদ্মা সেতুতে কর্মরত। তার স্ত্রী রুনা আক্তারের কাছে বাড়ী থেকে ফোন করলে সে আমায় প্রায় সময় বেধরক মারধর করতো। ঘটনার দিন রুনা আক্তার আমায় মাথার চুল কেটে গরম পানি ঢেলে হাত পা বেধে পিটিয়ে আহত করে। এ ব্যাপারে কর্নেল ফেরদৌস আলমের ০১৬৭৮০১৭০৪২ ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
EmoticonEmoticon