মুক্তাগাছায় এনএন বালিকা স্কুলে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ভাংচুর


স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তাগাছা শহরস্থ নগেন্দ্র নারায়ণ পাইলট মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে(এন এন পাইলট গার্লস স্কুল )প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে । আজ শনিবার এ ঘটনা ঘটে । হামলাকারীরা জাতীয় পার্টি সমর্থিত বলে অভিযোগ । প্রধান শিক্ষক জানান, নিজ কার্যালয়ে বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলাম । হঠাৎ কয়েকজন যুবক আমাকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুঁড়ে মারে । আমি দৌড়ে আত্নরক্ষা করি । হামলাকারীরা কক্ষের চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে । ঘটনার সময় স্কুলের ছাত্রী ও শিক্ষকরা নবারুণ বিদ্যানিকেতন মাঠে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সেমিনারে ছিলে শিক্ষার্থীরা এমপির সভা ছেড়ে যাওয়ায় স্কুলে হামলা! স্থানীয় সাংসদের বক্তব্যের সময় প্রচণ্ড গরমে শিক্ষার্থীরা সভাস্থল ত্যাগ করায় ক্ষুব্ধ এমপির লোকজন পাশের এক স্কুলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এ সময় অল্পের জন্য বেঁচে যান ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার দুপুরে শহরের এনএন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শহরের নবারুণ বিদ্যানিকেতন মাঠে ময়মনসিংহ জেলা ও মুক্তাগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড আয়োজন করে সেমিনার, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ফটো, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, প্রশ্নোত্তর ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয় অনুষ্ঠানটি। শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। প্রচণ্ড গরমে সভাস্থলেই কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর কিছু পর দুপুর সোয়া ১টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে মাইকে দাঁড়ান। এ সময় এনএন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গরম সহ্য করতে না পেরে সভাস্থল ত্যাগ করতে থাকে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এমপি বক্তব্য শেষে তাৎক্ষণিক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশুতোষ সরকারকে শোকজের নির্দেশ দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ছাত্র সমাজ ও যুবসংহতির নেতৃবৃন্দ। পরে তারা এমপিকে খুশি করতে এনএন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ তছনছ করে। চেয়ার ছোড়া হয় দুপরের খাবার খেতে বসা প্রধান শিক্ষকের ওপর। অল্পের জন্য রক্ষা পান প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি কেএম খালিদ বাবুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা স্কুল পরিদর্শন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা এতে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এর কিছু পর স্থানীয় সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন। প্রধান শিক্ষক আশুতোষ সরকার বলেন, বিষয়টি নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির বৈঠকের পর মামলা অথবা মীমাংসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মুক্তাগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Previous
Next Post »
Powered By Blogger