কই মাছ বেড়েছে আকার কমেছে স্বাদ


মনোনেশ দাস : কই মাছের আকার এখন সেই ছোটটি নেই । আকারে বিশাল বা বড় হয়েছে । গোটা কই মাছ ভেজে খাওয়ার উপায় নেই । কেটে টুকরো করে খেতে হয় । বাজারে পাওয়া যায় প্রতিটি কই মাছ আধা কেজি থেকে এক কেজি ওজনের। যদিও এই বিশাল আকারের কই বাজারে কম পাওয়া যায় । আকারে বড় করতে সময় লাগে । খরচও বেশি । ক্রেতাও কম । বেশির ভাগ মানুষই এত বড় আকারের কই মাছ খেয়ে অভ্যস্ত নন । বাজারে তোলা বড় আকারের কই মাছ দেখার দর্শক বেশী । সেই তুলনায় ক্রেতা কম । মনোনেশ দাস : ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় থাই প্রজাতি ও হাইব্রিড জাতের কই মাছ চাষ এখন খুবই জনপ্রিয় । দেশের মোট উৎপাদনের সিংহভাগ চাষ হয় ময়মনসিংহে । চাষবাদ ও ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িতরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন । এখানকার চাষ করা কইমাছ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে । স্থানীয়ভাবে পুকুরে চাষের কেজিপ্রতি কই মাছ আকার ও প্রকারভেদে ১০০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে । পাইকাররা কিনে নিয়ে ১৫০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা প্রতিকেজি কই ম্ছা বিক্রি করছেন। প্রকার ভেদে বেশিরভাগ কই মাছের সংখ্যা এক কেজিতে ২৫টি , ২০ টি ,১৫টি , ১০ টি , ৫টি । আবার এমনও কই মাছ আছে ২টিতে ১ কেজি এবং প্রতিটি কই মাছ এক কেজি ওজনের। মাঝে মধ্যে খাল বিলের দেশী কই মাছ বাজারে পাওয়া যায় । এগুলি আকারে ছোট, সংখ্যায় কেজিতে ২০টি থেকে ৩০টি হয় । দেশি কই মাছের দাম আকাশ ছোঁয়া । প্রতি কেজি কই মাছের দাম ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা । এক সময় ময়মনসিংহ অঞ্চলের কই চাষী এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা কই মাছ বেঁচে রাতারাতি কেটিপতি হয়েছেন । কারণটি হচ্ছে, ক্রেতাদের অজ্ঞতা । দেশী ও থাই প্রজাতির কই মাছ দেখতে প্রায় অনেকটা একই । এরা ক্রেতাদের দেশী বলে চালিয়ে দিয়ে কেজি প্রতি লাভ করেছেন ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত । এখন আর সেই রমরমা ব্যাবসা নেই । সবাই জেনে গেছেন , এখন আর দেশী কই পাওয়া যায় না । এখন প্রায় সবই হাইব্রিড । একজন প্রবীণ ব্যক্তি মাছ ভোজন রসিক বলেন, কই মাছ আকারে বড় হচ্ছে ঠিকই ; কিন্তু কমছে এর স্বাদ । । ছবি ক্যাপশণ , মুক্তাগাছা আটানী বাজারে ওঠা আধা কেজি ওজনের কই মাছ । http://blog.bdnews24.com/wp-admin/post.php?post=166125&action=edit
Previous
Next Post »
Powered By Blogger