মুক্তাগাছায় যাত্রী ছাউনি এখন লাকড়ির দোকান| মনোনেশ দাস : ময়মনসিংহ - টাঙ্গাইল মহাসড়কের মুক্তাগাছায় রামচন্দ্রপুর যাত্রী ছাউনিটি এখন লাকড়ির দোকান । জানা যায় , মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ এর সৌজন্যে নির্মিত যাত্রী ছাউনিটিতে বসার স্থান না থাকায় যাত্রীরা সড়কের পাশে দাড়িয়ে থেকে চলাচলরত যানবাহনে উঠা-নামা করে থাকেন । সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদাসনিতা , তদারকি ও সংরক্ষনের অভাবে একটি মহল যাত্রী ছাউনিটিকে ব্যবহার করছে লাকড়ির দোকান হিসাবে । স্থানীয় বাসিন্দারা জানান , রামচন্দ্রপুর মোড়ের এই যাত্রী ছাউনির সুবিধাভোগী পাশ্ববর্তী ১০ গ্রামের মানুষ । অভিযোগ রয়েছে , একটি চক্র রাতের আধাঁরে যাত্রী ছাউনির দেয়ালের ইট চুরি করে নিয়ে গেছে । ছাউনির সামনে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দক । এভাবেই ধীরে ধীরে ছাইনটি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ এখন চরমে । এব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ জানান , বিষয়টির সমাধানকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
ছবি : মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) : রামচন্দ্রপুর যাত্রী ছাউনিতে লাকড়ির দোকান মুক্তাগাছায় ঈদের পরও ভিজিএফের চাল পায়নি দুস্থ পরিবার
স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তাগাছায় ঈদের এক সপ্তাহ অতিবহিত হলেও রাজনৈতিক নেতাদের টানাটানি ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে ভিজিএফের বিশেষ বরাদ্দের চাল পায়নি প্রায় ৭০ হাজার দুস্থ পরিবার। ঈদে প্রত্যাশিত চাল না পেয়ে দরিদ্র পরিবারগুলোর ঈদ কেটেছে কষ্টে। আশ্বিন-কার্তিক মাসের অভাবের মৌসুমে এখন তাদের দিন কাটছে চরম অনটনে। চাল বিতরণ নিয়ে এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতা, ইউপি চেয়ারম্যাগণ এবং উপজেলা প্রশাসন নির্বিকার।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্র জানিয়েছে এবার ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে মুক্তাগাছার ১০টি ইউনিয়নে মোট ৬৯ হাজার ১০৯টি দুস্থ পরিবারকে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে পরিবার প্রতি ১০ কেজি হারে ৬শ’ ৯১.০৯ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করার জন্য বরাদ্দ হয়। সরকারি সিদ্ধান্ত মতে স্থানীয় সরকারের জন প্রতিনিধি ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের মাধ্যমে প্রকৃত সুবিধাভোগীর তালিকা প্রণয়ন করে ঈদের আগেই এ চাল বিতরণ করার কথা। কিন্তু জাতীয় পার্টির এমপি, বিএনপির উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতাদের মাঝে কার্ডের ভাগ-ভাটোয়ারা ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব প্রকট হওয়ায় চাল বিতরণ আটকে আছে। গত ঈদ-উল-ফিতরের ঈদে তিন দলের নেতাকর্মী, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বাররা নিজেদের মাঝে ভাগাভাগি করে বন্টন করেন ভিজিএফের চালের কার্ড। তখন ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগ উঠে। বিভিন্ন পত্রিকায় ফলাও করে সে সংবাদ ছাপাও হয়। এবার কে-কত কার্ড নিবে এ নিয়ে শুরুতেই এমপির লোক, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, উপজেলা চেয়ারম্যানের লোক এবং স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের মধ্যে চারমুখী দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠায় দুস্থ্:দের চাল পাওয়ার সম্ভাবনা এখন ক্ষীণ।
EmoticonEmoticon