মুক্তাগাছায় ফসলের পরীক্ষাগার


মুক্তাগাছায় ফসলের পরীক্ষাগার। বাংলাদেশে কৃষির উন্নতিতে কৃষকের স্বার্থে সরকারীভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও ব্যক্তি উদ্যোগে খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না । দেশে এই প্রথম ব্যক্তি উদ্যোগে মুক্তাগার চেচুয়ায় গড়ে তোলা হয়েছে ফসলের পরীক্ষাগার যার নাম‘ পেস্ট ডায়গনস্টিক সেন্টার’। প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষি বিভাগের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা । কৃষকের উৎপাদিত ফল ফসলের ক্ষতিকারক পোকা মাকড়ের আক্রমণ ও সংক্রামক ব্যধি কি কারণে হয়ে থাকে মূলত এগুলি সনাক্ত করাই পেস্ট ডায়গনস্টেক সেন্টার স্থাপনের লক্ষ ও উদ্দেশ্য । ১৯৯৯ সালে নেত্রকোনায় চাকুরীরত থাকাকালীন সময়ে ঐ এলাকার কৃষক পোকামাকড় সম্পর্কে অবগত নন দেখে এ বিষয়ে গবেষনা শুরু করেন । তিনি চিন্তা করেন কিভাবে কৃষকদের ধারনা দেয়া যায় । সামান্য কিছু যন্ত্রপাতি নিয়ে প্রাথমিকভাবে ডায়গনস্টিক সেন্টার তৈরি করেন । তৎপরবর্তীতে বিভিন্ন পোকামাকড়ের উপর গবেষণা করেন । উদ্ভাবন করতে থাকেন উপসর্গ । কৃষক তার উদ্ভাবিত ডায়গনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা নিরিক্ষা কাজে লাগিয়ে ফল ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সক্ষম হচ্ছেন । বর্তমানে তার ডায়গনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে , ক্ষতিকারক , উপকারী পোকামাকড়ের যেকোন রোগবালাইয়ের কারন । এই পরীক্ষাগারে সেস্ট করার মাধ্যমে সংক্রমন সম্পর্কে উপাত্ত বের করা হয় । বলতে গেলে সমৃদ্ধ ডায়গনস্টিক সেন্টার। সেলিম রেজা জানান, উপকারী পোকামাকড় সম্বন্ধেও ধারনা পাওয়া যায় এই ডায়গনস্টেক সেন্টারে । সেলিম রেজা জানান, ডায়গনস্টিক সেন্টারের পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন একটি কৃষি বিষয়ক বই সমৃদ্ধ মিনি লাইব্রেরী । যেখানে কৃষক চাষাবাদ বিষয়ক যে কোন ধারণা পেয়ে থাকেন । স্থানীয় কৃষকগণ পরীক্ষাগারে সরকারীভাবে যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন ।
Previous
Next Post »
Powered By Blogger