
হালুয়াঘাটে আকাশছোঁয়া পাহাড় হালুয়াঘাটে | মনোনেশ দাস :অনুসন্ধানের ফলাফল
হালুয়াঘাটে একই পরিবারের ৫ জনকে হত্যা, ১৩ জনের যাবজ্জীবন ...
hello-today.com/livenews24/87820
নিজস্ব প্রতিবেদক : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের গোবিনগর গ্রামে চাঞ্চল্যকর একই পরিবারের ৫জন হত্যা মামলার রায়ে ১০৭ আসামির মধ্যে ১৩ জনকে যাবজ্জীবন, ২ জনকে ১০বছর কারাদণ্ড বাকী ৭৮ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে বিজ্ঞ স্পেশাল জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ ড. মোহাম্মদ আমীর উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন।
হালুয়াঘাটে ১ বছর ধরে কয়লা আমদানি বন্ধ | একুশে টেলিভিশন
ekushey-tv.com › একুশে সংবাদ › অর্থনীতি ও বানিজ্য
৫ এপ্রিল, ২০১৫ - প্রায় একবছর ধরে কয়লা আমদানী বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের গোবরাকুড়া ও কড়ইতলী স্থল বন্দরের কয়লা ব্যবসায়ীরা। একই সাথে কাজের অভাবে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে বন্দর শ্রমিকরাও। ভারতে পরিবেশবাদীদের মামলার কারণে এক বছর ধরে বন্ধ আছে এ বন্দরের কয়লা আমদানী কার্যক্রম। কয়লা আমদানী কার্যক্রম ...
হালুয়াঘাটে পাঁচজনকে হত্যা: ১৩ জনের যাবজ্জীবন | সারাদেশ | The ...
www.ittefaq.com.bd/wholecountry/2015/02/25/15160.html
২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫ - ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পাঁচ জনকে হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন ও দুই জনকে দশ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ১৮ বছর পর এ রায় দিয়েছে আদালত। ময়মনসিংহ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আমির উদ্দিন বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- হালুয়াঘাটের মানিক, সিরাজুল, রমজান, আবু তাহের, আব্দুস ...
হালুয়াঘাটে পাঁচ খুনের দায়ে ১৩ জনের যাবজ্জীবন | শেষ পাতা ...
www.ittefaq.com.bd/print-edition/last-page/2015/02/26/34264.html
২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫ - ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পাঁচ খুনের দায়ে ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মুহাম্মদ আমির উদ্দিন এই আদেশ দেন। এ মামলায় আরো দুজনকে দশ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। মামলার বিবরণে প্রকাশ, ১৯৯৭ সালের ২০ এপ্রিল হালুয়াঘাট উপজেলার গরুহাটা গোপিনগর ...
হালুয়াঘাটে কড়ইতলী-গোবরাকুড়া স্থলবন্দর চালু ৪ ... - বজ্রশক্তি
www.bajroshakti.com/হালুয়াঘাটে-কড়ইতলী-গোবরাক/
হালুয়াঘাট প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ: দীর্ঘ ১ বৎসর ৪ দিন অপেক্ষার পর কড়ইতলী-গোবরাকুড়া স্থলবন্দর চালু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল আনুমানিক ৪ টার সময় কড়ইতলী স্থলবন্দরে সোহেল শিরিন এন্টারপ্রাইজের কয়লা ভর্তি একটি গাড়ি প্রবেশের মধ্য দিয়ে উক্ত বন্দরের পুনরায় যাত্রা শুরু হয়। দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর শেষে দুটি বন্দর পুনরায় চালু হওয়ায় ...
বণিক বার্তা | হালুয়াঘাটে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি
www.bonikbarta.com/2015-04-30/news/details/35396.html
হালুয়াঘাটে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি. বণিক বার্তা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ | ২০১৫-০৪-৩০ ইং. Tweet. প্রায় এক বছর পর আবার শুরু হয়েছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের কড়ইতলী ও গোবরাকুড়া স্থলবন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি। কিন্তু গত ছয়দিনের টানা পরিবহন ধর্মঘটের কারণে আমদানিকৃত কয়লা দেশের অভ্যন্তরে সরবরাহ করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
হালুয়াঘাটে ফের দুর্ধর্ষ ভাংচুরের ঘটনা পরিবেশ উত্তপ্ত
www.aporadhshongbad.com/index.php?page=news&id=7684
... মাহবুবুর রহমান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কর্মসূচি ঘোষনা করেন। অপরদিকে পরিবহন ধর্মঘটের প্রতিবাদে ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করে আমদানীকারক সমিতির নেতৃবৃন্দ। এদিকে পরিবহন ধর্মঘট চলমান থাকা অবস্থায় বৃহষ্পতিবার ভোর রাতে আরেকটি লোম হর্ষক দুর্ধর্ষ ভাংচুরের ঘটনায় হালুয়াঘাটে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
Daily Manab Zamin | হালুয়াঘাটে গারো কিশোরী ধর্ষণ
mzamin.com/details.php?mzamin=Njk3ODM=&s=OQ==
৩১ মার্চ, ২০১৫ - মুঠোফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে সংড়া গ্রামে দুলু মিয়ার পুত্র মো. সুমন মিয়া (২৫) ২৮শে মার্চ কিশোরীর নিজ সাকিনস্থ ঝিনাগাইতীর বাকাকুড়া গ্রাম হইতে ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলযোগে হালুয়াঘাটে নিয়ে আসে। পরে পলাশতলা গ্রামে বারেক মিয়ার আকাশী বাগানের ভিতরে পরিত্যক্ত মাটির ঘরে রেখে তাকে রাতভর ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
হালুয়াঘাটে শিশু অধিকার ও স্বাক্ষরতা চুক্তির ২৫তম পূর্তি ...
sherpurtimes.com/হালুয়াঘাটে-শিশু-অধিকার-ও/
হালুয়াঘাটে ওয়াল্ড ভিশন অব বাংলাদেশ (এডিপি) কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার ও স্বাক্ষরতা চুক্তির ২৫তম পূর্তি দিবস উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার হালুয়াঘাট উপজেলা হলরুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল আউয়ালের প্রধান অতিথির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হয়। সকাল ১১টায় ১৮ বছরের নিচে ২ শতাধিক স্পন্সর শিশুদেরকে নিয়ে ...
হালুয়াঘাটে পাঁচজনকে হত্যা: ১৩ জনের যাবজ্জীবন - The NewHub
ol.newhub.shafaqna.com/.../318311-হালুয়াঘাটে-পাঁচজনকে-হত...
হালুয়াঘাটে পাঁচজনকে হত্যা: ১৩ জনের যাবজ্জীবন. ... bangla.bdnews24. 13 روز پیش. হালুয়াঘাটে পাঁচজনকে হত্যা: ১৩ জনের যাবজ্জীবন. ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পাঁচ ব্যক্তিকে হত্যার ১৮ বছর পর ১৩ জনের যাবজ্জীবন ও দুই জনকে দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ... Read on the original site · নড়াইলে ছাত্রদল নেতাসহ আটক ২৬. -amardeshonline ...
পূর্ববর্তী 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 পরবর্তী
হালুয়াঘাটে ভিডিও প্রকাশে গ্রেফতার তরুণ কারাগারে
www.banglanews24.com/fullnews/bn/390837.html
৫ দিন আগে - ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে অশ্লীল ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ করার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মোজাম্মেল হককে (২৫) আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (০৫ মে) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকিউর রহমান জানান, ৫ বছর ...
হালুয়াঘাটে বজ্রপাতে দুই কৃষক নিহত - Banglanews24.com
www.banglanews24.com/fullnews/bn/391331.html
৩ দিন আগে - ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বজ্রপাতে জমসেদ আলী (৫০) ও রুবেল মিয়া (৩০) নামে দুই কৃষক মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৭ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ধারা ইউনিয়নের বালিয়াকান্দা ও করুয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা প্রশাসন জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ঝড়ের সময় একই ইউনিয়নের বালিয়াকান্দা ও করুয়াপাড়া ...
হালুয়াঘাটে পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত - Prothom Alo
www.prothom-alo.com › বাংলাদেশ › বিবিধ
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় ভারতীয় কয়লা আমদানি ও ব্যবসার বিরোধের জের ধরে দ্বিতীয় দফায় তিন দিন ধরে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। ধর্মঘটের কারণে বাস-ট্রাক চলাচল না করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ খেটে খাওয়া লোকজন।গোবরাকুড়া স্থলবন্দরের কয়লা আমদানিকারক, পরিবহন মালিক সমিতি ও স্থানীয় সূত্রে...
হালুয়াঘাটে পরিবহন নেতার প্রতিষ্ঠানে ফের হামলা - Prothom Alo
www.prothom-alo.com › বাংলাদেশ › অপরাধ
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ভারতীয় কয়লা আমদানিকারকদের সঙ্গে পরিবহন মালিক সমিতির বিরোধের জের ধরে গত বুধবার রাতে এক পরিবহন নেতার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আবারও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এর আগে গত রোববার একই ব্যক্তির একটি প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়।ভারতের মেঘালয় সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাটের গোবরাকুড়া...
হালুয়াঘাটে-এর চিত্রচিত্রগুলি রিপোর্ট করুন
হালুয়াঘাটে এর চিত্র ফলাফল
হালুয়াঘাটে এর চিত্র ফলাফল
হালুয়াঘাটে এর চিত্র ফলাফল
হালুয়াঘাটে এর চিত্র ফলাফল
হালুয়াঘাটে-এর জন্য আরো চিত্র
হালুয়াঘাটে পাঁচজনকে হত্যা: ১৩ জনের যাবজ্জীবন - bdnews24.com
bangla.bdnews24.com/bangladesh/article930730.bdnews
২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫ - ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পাঁচ ব্যক্তিকে হত্যার ১৮ বছর পর ১৩ জনের যাবজ্জীবন ও দুই জনকে দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
গাজীপুরে থাকি হালুয়াঘাটে বাড়ি Profiles | Facebook
https://en-gb.facebook.com/.../গাজীপুরে-থাকি-হালুয়াঘাটে...
View the profiles of people named গাজীপুরে থাকি হালুয়াঘাটে বাড়ি on Facebook. Join Facebook to connect with গাজীপুরে থাকি হালুয়াঘাটে বাড়ি and others...
গাজীপুরে থাকি হালুয়াঘাটে বাড়ি | Facebook
https://en-gb.facebook.com/...হালুয়াঘাটে.../100009081182464
গাজীপুরে থাকি হালুয়াঘাটে বাড়ি is on Facebook. Join Facebook to connect with গাজীপুরে থাকি হালুয়াঘাটে বাড়ি and others you may know. Facebook gives...
হালুয়াঘাটে পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত বিপাকে ব্যবসায়ীরা
www.jugantor.com/news/2015/05/01/257099
১ মে, ২০১৫ - ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে মোটর মালিক সমিতি ও আমাদানি-রফতানিকারক সমিতির দ্বন্দ্বে ছয় দিন ধরে পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। ধর্মঘটের কারণে অচল হয়ে পড়েছে গোবড়াকুড়া ও কড়ইতলী দুটি কয়লা এবং শুল্ক বন্দরসহ সব ব্যবসা-বাণিজ্য। বেকার হয়ে পড়েছে প্রায় ১১শ আমদানিকারক ও ১৫ হাজার শ্রমিক। বাস, ট্রাক ও অটোরিকশা চলাচল ...
বজ্রপাতে হালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রসহ পাঁচ স্থানে ৬ জনের মৃত্যু
www.jugantor.com/bangla-face/2015/05/09/260716
1 দিন আগে - বজ্রপাতে হালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রসহ কালিয়াকৈর ইসলামপুর, নওগাঁ এবং গাইবান্ধা ৬ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন একজন। যুগান্তর প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-হালুয়াঘাট.
1 2 3 4 5 | বেলা তখন বারোটা। থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। শ্রাবণ মাস। এই বৃষ্টি তো এই রোদ। হালুয়াঘাটে আসতেই বৃষ্টিও যায় বেড়ে। পাহাড়ের পাদদেশের শহর বলেই আবহাওয়ার এ হাল।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের এক পাশে মেঘালয়। আকাশছোঁয়া শত শত পাহাড় সেখানে। দূর থেকে তা দেখতে বেশ লাগে। বর্ষার মেঘগুলোকে ছুঁয়ে দেয় সে পাহাড়গুলো। আর অমনি তা বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে হালুয়াঘাটের বুকে।
চাষং অপেক্ষায় ছিল মোটরবাইক নিয়ে। মোটরবাইক ছাড়া এ অঞ্চল ঘুরে বেড়ানো প্রায় অসম্ভব। বাসস্ট্যান্ডে পা দিতেই হাসিমুখে স্বাগত জানাল সে। এই গারো যুবকটিই আমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াবে আদিবাসী পাড়াগুলোতে।
হালুয়াঘাট থেকে দশ কিমি ভেতরে আচকিপাড়া। সেখানে দুপুরের খাবার সেরে নেই সুমনা চিসিমদের বাড়িতে। সহকর্মী সুমনার উৎসাহেই এসেছি হালুয়াঘাটে।
আমরা যাব ডালু পাড়ায়। কিন্তু ডালুদের কোনো সন্ধান জানা নেই সুমনার। শুধু বললেন, ’৬৪-র রায়টের সময় ঘরবাড়ি ফেলে অনেক ডালুই চলে গেছে মেঘালয়ে।’
সুমনাদের পাশের বাড়িটি আদিবাসী ফোরামের সঞ্জীব দ্রংয়ের। ওখানে গিয়ে তার দেখা পেলাম না। কিন্তু পেলাম তার গড়া এনজিও আইপিডিএস-এর কর্মকর্তাদের। প্রোগ্রাম অফিসার জানালেন, হালুয়াঘাট বাজারে রয়েছে একটি ডালু পরিবার। চাষং জেনে নেয় সে ঠিকানা।
গ্রিলের দোকানে কাজ করেন আনন্দ ডালু। কিন্তু তিনি নিজেকে এখন আর ডালু বলে পরিচয় দেন না। হিন্দু পরিবারে বিয়ে করে তার নামও তিনি পাল্টে ফেলেছেন বহু আগেই। তার নাম এখন দিগেন চন্দ্র রায়। ডালুকে না পেয়ে আমরা খানিকটা হতাশ হই। কিন্তু হাল ছাড়ি না।
বাজারের পাশেই খুঁজে পাওয়া গেল এক ডালু পরিবারকে। গৃহকর্ত্রী জয়া ডালুর সঙ্গে আলাপ হতেই জানলাম তাদের গ্রামের বাড়ি জয়রামকুড়ায়। সেখানে এখনো ডালুদের একটি আদিবাসী পাড়া রয়েছে। সবকিছু জেনে আমরা রওনা হই জয়রামকুড়ার দিকে।
ঝিরঝির বৃষ্টি। আঠালো কাদামাটির পথ পেরিয়ে আমরা এগোতে থাকি। চলার পথে চাষং জানাল, ডালুরা মিশে যাচ্ছে অন্য জাতির মধ্যে। অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে গারো, হাজং আর সনাতন হিন্দু সংস্কৃতিতে। ফলে এখন আর তাদের আলাদাভাবে চেনা যায় না।
রাস্তার ঠিক পাশেই মিলল এক ডালু বাড়ি। মাটি আর ছনে ছাওয়া ছোট ছোট তিনটি ঘর। ঘরগুলোতে নেই কোনো জানালা। রান্নাঘর আর গোয়ালঘর লাগোয়া। উঠোনের এক পাশে তুলসি গাছ। পাশেই মাটির তৈরি ছোট্ট একটি প্রার্থনা ঘর। গোটা বাড়িতে দারিদ্র্যের ছাপ স্পষ্ট।
আমাদের শব্দ পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন এক বৃদ্ধ। নাম শুকনা ডালু। বয়স জানালেন আশি। লাঠিতে ভর দিয়ে চলেন তিনি। এখানকার ডালুদের মধ্যে তিনিই বয়স্ক ব্যক্তি। বাড়ির ছোট্ট বারান্দায় বসেই আমাদের সঙ্গে শুকনা ডালুর কথোপকথন হয়।
ডালুরা ইন্দো-মঙ্গোলয়েড গোষ্ঠীর একটি শাখা। নৃবিজ্ঞানীদের মত তেমনটাই। কিন্তু ডালুরা মনে করে তারা মহাভারতে বর্ণিত অর্জুনের পুত্র বভ্রুবাহনের বংশধর। বভ্রুবাহনেরই অধীনস্থ ছিলেন সুবলা সিং মতান্তরে ডালজী। এক সময় তাকে তার স্বদেশভূমি মনিপুর থেকে বিতাড়িত করা হয়। তিনি তখন দলবলসহ আসামের পুরো মধ্যাঞ্চল ও দুর্গম গারো পাহাড় পার হয়ে ভোগাই নদী তীরে বারেঙ্গাপাড়া নামক স্থানে এসে প্রথম বসতি স্থাপন করেন। ডালজী প্রথম বসতি স্থাপন করেছিল বলেই তার নামানুসারে ওই স্থানের নামকরণ করা হয় ডালুকিল্লা। বর্তমানে যা ডালুবাজার বা ডালুগাঁও নামে পরিচিত। পরবর্তী সময়ে এ ডালুগাঁও থেকে উত্তরে হাঁড়িগাঁও, দক্ষিণে হাতিপাগাড়, কুমারগাতি, সংড়া, জুগলী প্রভৃতি স্থানসহ কংশ নদীর পাড় পর্যন্ত ডালুরা বসতি বিস্তৃত করে।
বাংলাদেশে ডালুদের সংখ্যা মাত্র দেড় হাজারের মতো। সেটিও ১৯৯৭ সালের আদমশুমারির সময়ের তথ্য। জয়রামকুড়া ছাড়াও হালুয়াঘাটের সংড়া, মনিকুড়া এবং শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলায় এদের বাস। এদেশে ডালু আদিবাসীদের সংখ্যা কম হলেও ভারতের আসাম রাজ্যের নওগাঁ, দরং, গোয়ালবাড়ি এবং মেঘালয় রাজ্যের ফুলবাড়ি, গারোবাদা, তুরা প্রভৃতি জেলায় অনেক ডালু পরিবার রয়েছে।
ডালুদের গোত্র নিয়ে আলাপ উঠতেই শুকনা ডালু জানালেন তাদের প্রধান গোত্র তিনটি- চিকাং, পিড়া এবং মাশী। ডালু ভাষায় এটি দপ্ফা। এছাড়া রয়েছে আরো সাতটি উপগোত্র। হরহর করে তিনি বলে যান সাতটি নাম- দরুং, নেংমা, কাড়া, মাইবাড়া, বাপার, কনা এবং গান্ধী। ডালু সমাজে সন্তানরা মায়ের গোত্রনাম লাভ করে। এদের একই গোত্রে বিয়েও নিষিদ্ধ।
হঠাৎ ঘরের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে এক নারী। কপালে ভরাট সিঁদুর। পরনে ডালুদের পোশাক পাথানি। হাতে সাদা শাখা। বাঁশের ডালাতে করে মুড়ি এনেছেন তিনি। শুকনা ডালু পরিচয় করিয়ে দেন তার ছেলে লিটন ডালুর স্ত্রী পুতুলী ডালুকে।
মুড়ি খেতে খেতে পুতুলীর কাছে শুনি ডালু নারীদের অলংকারের গল্প। একসময় ডালু মেয়েরা গলায় হাসুলী, মিক্কিছড়া, কানে কানখিরি, বাহুতে কাটাবাজু, নাকে নাকঠাসা, নোলক, পায়ে বেকীখাঁড়–, ঠ্যাংপাতা প্রভৃতি পরতো। কিন্তু এখন হিন্দু নারীদের মতো শুধুই শাঁখা, চুড়ি আর মালা পরে তারা।
ডালুদের প্রিয় খাবার কি? উত্তরে পুতুলী বলেন, ডালুদের খাবার রীতি অনেকটাই গারোদের মতো। ক্ষারের জল বা বিলাতি সোডা দিয়ে রান্না করা তরকারি তাদের কাছে উপাদেয়। হিদল শুঁটকি তাদের তরকারি রান্নায় অন্যতম উপকরণ। কঁচি বাঁশ ও কলার মোচা তাদের কাছে অতি প্রিয়। তবে গরু ও মহিষের মাংস একেবারেই নিষিদ্ধ। ডালুদের প্রিয় পানীয় পঁচুই মদ। ডালু নারীরা এই মদ তৈরিতে পটু।
শুকনা ডালুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আমরা খানিকটা এগোই। বড় একটি দীঘির পেছনে সন্ধান পাই ডালুদের পাড়াটির।
ছয়-সাতটি বাড়ি মাত্র। মধ্যখানে উঠোন। বেশ পরিষ্কার পরিপাটি। কোদাল নিয়ে বৃষ্টির পানি সরাচ্ছিলেন এক বৃদ্ধা। নাম আলেফা ডালু। এ পাড়ার প্রধান কে? এমন প্রশ্নে তিনি নীরব থাকেন। ঘরের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসেন বৃদ্ধার ছেলে নিতাই ডালু। তিনি বলেন, ‘এ পাড়ায় কোনো প্রধান নেই। শুকনা ডালুকেই আমরা মোড়ল বলে মানি।’
এক সময় ডালুদের এক একটি গ্রাম পরিচালিত হতো একেকজন মোড়ল বা সরকারের মাধ্যমে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, সামাজিক ও পারিবারিক সমস্যা নিরসনে ডালুরা তার ওপরই নির্ভর করত। পুরো সমাজ মোড়লের একক নিয়ন্ত্রণে থাকত। শিক্ষা ও আর্থিক বিবেচনায় গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন করা হতো মোড়ল বা সরকারকে।
ব্রিটিশরা ডালুদের মোড়ল বা সরকারের পরিবর্তে গাঁওবুড়ার পদ প্রবর্তন করে। এ গাঁওবুড়ারাই ডালুদের মধ্যে সমাজনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন, ছোটখাটো বিচার সমাধা, অর্থদ-ে দ-িত করা ও সামাজিক বা পরিবারিক বিবাদে মধ্যস্থতা করত। সময়ের হাওয়ায় ডালু সমাজে আজ লুপ্ত হয়েছে সে নেতৃত্বও।
নিতাই পড়াশুনা করেছে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। তার মতে, ডালুরা অন্য আদিবাসীদের মতো ততটা সচ্ছল নয়। ফলে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানোর চেয়ে কাজে নিয়ে যাওয়াকেই তারা উত্তম বলে মনে করে।
ডালুদের পেশা কি? এমন প্রশ্নের উত্তর মিলে আলেফা ডালুর মুখ থেকে। তিনি বলেন, গারো ও হাজংদের মতো ডালু সম্প্রদায়ের আদিবাসীরাও কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এক সময় এক একটি ডালু পরিবারে প্রচুর ভূসম্পদ ছিল। বসতবাড়ির আশপাশে মৌসুমি সবজি ফলাতে এরা ছিল পারদর্শী। কিন্তু বর্তমানে জমি হারিয়ে ডালু পরিবারগুলোই হয়েছে ভূমিহীন। ফলে অন্যের জমিতে কাজ করে জীবিকা চালাচ্ছে এরা। আবার অনেক ডালুই হাতের কাজ, কুটির শিল্প, ছুতোর মিস্ত্রি, কর্মকার প্রভৃতি পেশায় যুক্ত হয়েছে। এভাবে ডালুরা হারিয়ে ফেলেছে তাদের পূর্বপুরুষের পেশা।
সন্ধ্যা তখন হয় হয়। উঠোনের এক পাশে তুলসি থানে সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালিয়ে ভক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নেয় নিতাইয়ের স্ত্রী কবিতা ডালু। বাড়ি বাড়ি তুলসি ঠাকুর ছাড়াও এ পাড়ায় বাস্তুদেবতা ‘থান’ রয়েছে। ডালুদের বিশ্বাস বাস্তুদেবতার সন্তুষ্টি ছাড়া সমাজে কারোই মঙ্গল হয় না। তাই তারা নিয়মিত পূজার আয়োজন করে। পূজার কথা উঠতেই নিতাই বলেন, ‘শক্তির দেবী শ্যামাকে আমরা পূজি। এছাড়া গৌরি, নিতাই ও মনসা আমাদের প্রধান দেবদেবী।’
হঠাৎ উলু ধ্বনি দেয় কবিতা। আমরা নীরব থাকি। ডালুরা স্মরণ করে তাদের বিশ্বাসের দেবতাদের।
এ অঞ্চলের গারো ও হাজংরা ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রিস্টান হলেও ডালুরা হয়েছে সনাতন হিন্দু। ধর্মান্তরিত হয়ে গারো ও হাজংরা হারিয়ে ফেলেছে তাদের আদি সংস্কৃতিগুলো। কিন্তু পেয়েছে চিকিৎসা সেবা, ছেলেমেয়েদের শিক্ষা ও উন্নত ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা। কিন্তু ডালুদের ক্ষেত্রে তাও ঘটেনি। মূলধারার সনাতন হিন্দুরা যেভাবে পূজা অর্চনা করে, ডালুরাও সেভাবেই তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। কিন্তু তবুও সনাতনপন্থী বর্ণহিন্দুরা ডালুদের আজও গ্রহণ করেনি। শুধু তাই নয়, এরা কোনো উৎসবে ডালুদের সঙ্গে একত্রে ভোজন পর্যন্ত করে না। ফলে বুকের ভেতর বৈষম্য আর কষ্টের বোঝা সবসময় বয়ে বেরাচ্ছে এদেশের ডালুরা। তাই ফেরার পথে নিতাইয়ের কাছে প্রশ্ন ছিলÑডালুরা কি হিন্দু? খানিকটা নীরব থেকে দৃঢ় কণ্ঠে নিতাই উত্তর দেয়Ñ ‘না বাবু, আমরা আদিবাসী।’
EmoticonEmoticon